“”ফেলব্রিং রিহ্যাবসেন্ট্রুম থেকে'”‘ ।। পর্ব এক।। সিফাত হালিম, ভিয়েনা।

বিবা নিউজ ডেস্ক বিবা নিউজ ডেস্ক

সারা বিশ্বের প্রতিচ্ছবি

প্রকাশিত: ৮:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০১৯
শেয়ার করুনঃ


সময়ে’র নিকট লেখা আমার দিনলিপির অংশবিশেষ, মার্চ 2010 ——সিফাত হালিম।
দুপুরের দিকে হাসপাতালের গাড়িটা তল্পিতল্পাসহ ভিয়েনা থেকে আমায় পৌঁছে দিয়ে গেল,গন্তব্যস্থল ফেলব্রিং রিহ্যাবসেন্ট্রুম (জার্মান ভাষা)।কোথাও যাত্রাবিরতি নেই,দীর্ঘ পথ একটানে এসেছি।ভিয়েনা থেকে নিদারঅষ্ট্রিয়া তারপর নিঝুম আঁকাবাঁকা পাহাড়িপথে অনেকটা এগিয়ে চৌদিক পাহাড়ে ঘেরা মুথমানসড্রফ নামক গ্রাম। মুথমানসড্রফ নামেই গ্রাম। উন্নত দেশ।গ্রাম বা শহর বলে কথা নেই।সবখানেই আধুনিকতার ছোঁয়া ।এখানকার একটা এলাকা ফেলব্রিং। অনেক উঁচু পাহাড়ের অধিত্যকায় অবস্থিত এই রিহ্যাবসেন্ট্রুম ।
(বাংলায় যাকে বলে নিবিড় স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র।)এখানে আসার উদ্দেশ্য ,যাঁরা বহুদিন অসুস্থ, জটিল রোগী বা গুরুতর বড় অপারেশন হয়েছে, হাসপাতাল ত্যাগের পরপরই বিভিন্ন মেয়াদে চিকিৎসা ও পরিচর্যার মাধ্যমে তাদের শুশ্রূষা ও রোগ নিরাময়ের জন্য এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দিয়ে পাঠানো হয়। এটাও হাসপাতাল তবে ছোটপরিসরে। সব ব্যবস্থা স্বাস্থ্য কেন্দ্র করেন । রোগীকে শুধুমাত্র সেন্ট্রুমের অনুকূলে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ আগেভাগে ব্যাংকে জমা দিতে হয়। সেই টাকায় চলে রোগীর থাকা খাওয়া ও যাতায়াতের খরচ। অস্ট্রিয়াতে এ ধরনের রিহ্যাবসেন্ট্রুম আছে অনেক। ভিয়েনা থেকে এটাই নিকটবর্তী । সম্প্রতি আমার একটা বাইপাস ও ক্লাপের (বাল্ব )অপারেশন হয়েছে।হাসপাতাল থেকে ফিরে সপ্তাহ দুয়েক বাড়িতে ছিলাম।তারপর নিয়ম অনুযায়ী এখানে আসতেই হলো ।
এমবুলেন্সে কুতুব বাদে ড্রাইভারের আরও দুই সহকারী ছিল।ওরা আমায় নামিয়ে কেন্দ্রের সেক্রেটারিকে ফাইল বুঝিয়ে, আমার সুস্থতা কামনা করে বিদায় নিয়েছে । সপ্তাহের পাঁচদিনই এখানে রোগী আসে ও যায়।অধিকাংশ রোগী এমবুলেন্সে অথবা সাহায্য সংস্থার বাহনে আসেন। আজও নতুন যাঁরা, কেউকেউ তখন ও আসছেন ব্যাগব্যাগেজ সহ।অল্পক্ষণে অভ্যর্থনা কক্ষে রোগী আর কর্মীদের ভিড়ে ভিড়াক্কার।সবাই ব্যস্ত । আমার প্রতিবেশী যাঁরা দেখলাম,তাঁরা সকলেই বেশি বয়সী।তাঁরা প্রায় সকলেই হয় এদেশি নয় বিদেশি তবে চামড়া সাদা। এসে অবধি এই পর্যন্ত কোনো কালো চামড়ার কর্মীলোক কিংবা রোগী দেখিনি ।সবাই সাদাটে বর্ণের।
অভ্যর্থনা কক্ষে প্রতিবেশীরা (রোগীরা) একে অপরের সঙ্গে হাই-হ্যালো বলে ভাব জমিয়ে ফেলেছেন । টুকটাক কথাবার্তা বলছেন। কথায় বলে,”নেই কাজ তো খই ভাঁজ” তেমনি। আমার খোঁশগল্পের মেজাজ নেই।সৌজন্য বশতঃ কাউকেই হ্যালো বলতে পারিনি ।মাঝেমধ্যে কুতুবের হাত খাঁমচে আবেগ সামলাচ্ছি। ইতোমধ্যে প্রতিবেশীদের অনেকে কুতুবের মুখ থেকে আমার বিষয়ে স্বল্প কিছু জানলেন।রোগের বিশদ ও আমার বয়সে এই অপারেশন, বয়সী মানুষগুলোর চক্ষু চড়কগাছ। বিশ্বাসই করতে চাননা। একটু বিব্রতভাব। অনেকেই খুউব দুঃখ দুঃখ ভাব নিলেন।
আমি ভাষাহীন,নিরব।চোখেমুখে আছড়ে ভাঙছে কষ্টের মেঘ।ঠোঁট টিপে আছি।কান্নার বৃষ্টি নামতে দিলাম না।সে জল আর কতটা ধোবে আমার ব্যথা???
আমার মন পড়ে রয়েছে ঘরে, বছর ছয় বয়সী “সময়ে”র কাছে।এমনিতে অপারেশনের জন্য লাইন্সার হাসপাতালে তিন সপ্তাহ থাকলাম। তারমানে একুশ দিন। কতঘন্টা,মিনিট বা সেকেন্ড ইয়ত্তা নেই। সেখানে ইন্টেনসিভ কেয়ার থেকে নর্মাল বেডে দিয়েছে পাক্কা সাতদিন পর।লাইন্সার হাসপাতাল ভিয়েনায় বিধায় আমাদের দেখা হতো ,সেটা নর্মাল বেডে যাবার পরে।আর এখানে সময় আসবে একবার,সেই সপ্তাহ শেষে(দূরত্বের কারণে )।শোনার সাথে সাথে প্রাণ আইঢাই করছে।
এখানে আসার আগে সময়ের সঙ্গে ছল করেছিলাম অনেক ।গোছানো ব্যাগটা নিয়ে ও টানাটানি করলো খানিকক্ষণ। এদিক ওদিক সেরে রাখতে চায়।ভরা ব্যাগ,ওজনের ভারে পারেনা।অগত্যা তার ওপরে বসে থাকলো।নড়েনা। কাঁদলো কতক্ষণ । ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় বল্লো, “আবার ও যাবে ,আমাকে রেখে শুধুই চলে যাও কেন তুমি ?”
আমি কি বলবো? কি যে বলি?কেন যাচ্ছি ,কি করে বোঝাই ?কেউ কি ইচ্ছে করে যেতে চায়?কেউই যেতে চায় না।
ভাগ্যিস,রনি এসেছিল। আমার অপারেশনের শুরু থেকেই রনি ভিয়েনায়। সময়ের দাদু। ক্যানাডা প্রবাসী আমার বড়ো বোনের ছেলে। আমার কারণে কুতুবের অত্যাধিক ব্যস্ততা। সময়কে ঠিকমতো সঙ্গ দিতে পারে না। রনি না এলে, কি যে হতো আমাদের বলা মুশকিল। সময়কে রনি সামলায়।রনির নিজেরই বয়স কম।ছয় বছরের একটি ঘাঁড় ত্যাড়া ছেলে সামলানো কষ্টের ।তদুপরি কুতুবের ভার লাঘব হয়েছে কিছু । আমি ও স্বস্তি পেতাম।(রনি, আমরা কৃতজ্ঞ )
এরইমধ্যে কুতুব উঠে একটু ঘুরে আসলো।
রিসেপশনের পাশে বেশ বড়ো একটা ক্যাফেটরিয়া । চেয়ার-টেবিল দিয়ে সুন্দর সাজানো। পেছনে মাথাঢাকা দেওয়া ,চারপাশ খোলা বড়ো বারান্দা। ঠান্ডা না থাকলে অনেকে বসেন। ক্যাফেতে মিষ্টি খাবার (কেক জাতীয় )চা কফি এবং কোমল পানীয় পাওয়া যায়। রোজই খোলা ,রাত্রি নয়টা অবধি।রোগীদের জন্য এই যথেষ্ট।ক্যাফেতে চিঠির খাম,ডাকটিকিট, বন্ধু -স্বজনদের দেওয়ার জন্য মনোরম রিহাবসেন্ট্রুমের সুদৃশ্য কার্ড বিক্রয় হয়।মেইনগেটের ভেতরে মেইলবক্সটি । চিঠি, কার্ড পাঠানোয় ঝামেলা নেই কোনো । এখানে ডাকপিওন নেই । সকালে গাড়িতে শহর থেকে যাবতীয় মেইল নিয়ে আসে ডাকঘরের লোক। সেসব সেক্রেটারিকে বুঝিয়ে, বন্ধ মেইলবক্স খুলে এখানকার মেইলগুলি সংগ্রহ করে পুনরায় ফিরে যায় সে । তারপর শহরের ডাকঘর হয়ে সেসব চলে যাবে গন্তব্যে ।
নৈশভোজ শেষে রোগীদের একবার রিসেপশনে আসতে হয়। আগামীকালের রুটিন সংগ্রহের জন্য।অফিস থেকেই রোগীর নাম ও রুম নং দিয়ে প্রত্যহ কাগজে সময়সূচি লিখে দেয়।কখন, কোন রুমে , কি বিষয় ইত্যাদি,,,, ইত্যাদি । যাইহোক,তখনই প্রত্যেকে নিজেদের চিঠিপত্র সংগ্রহ করেন ।
খাবার দাবারের বিষয়টি ও সময় মাফিক।নির্দিষ্ট সময়ে ডাইনিং এ না এলে ঐবেলার খানা নেই।ব্যতিক্রম আছে, কিছু রোগের পরীক্ষা নীরিক্ষা হয় খালি পেটে।তখন দেরিতে সমস্যা হয়না।কর্তৃপক্ষ ডাইনিং এ জানান দিয়ে রাখেন। খানা থাকে।
রোগীর স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা ছাড়া বাকি সব চলে গ্রুপে।ব্যায়াম, সাঁতার, সাইক্লিং, হলরুমে প্রজেক্টার চালিয়ে বিশেষজ্ঞ ও রোগীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, নিয়মিত হাঁটাচলা (পাহাড়, জঙ্গলের পথ বা সমান্তরালে ) ইত্যাদি
সব গ্রুপে।পনেরো কিংবা কুড়ি জনের একেকটি গ্রুপ।প্রত্যেকেটি গ্রুপে দুই বা ততোধিক বিশেষজ্ঞ আছেন। কখনও ডাক্তারও থাকেন। আমরা গ্রুপে বিশজন ছিলাম।
যাইহোক,সেক্রেটারির ঢিলেমি কাজ।রোগীর ভিড়ে সে অতিশয় বিরক্ত। আর হবেই না বা কেন? ভোরবেলা থেকে এইযে রোগী আসছে অনবরত । বারো রকমের রোগীর, বারো রকম ফাইল। সেসব যথাযথ পূরণে সময় লাগে। আহা বেচারি, দম ফেলার ফুরসত নেই। মাঝে মাঝে ভ্যানিটি খুলে ছোট আয়নায় মুখ দেখে চোখের ছড়ানো কাজল একটু মুছে নেবে, লিপস্টিক ঘসবে ঠোঁট জোড়ায়। সেটা হচ্ছে না। বিরক্তি কী আর সাধে হয় ??
এখানকার ফর্মালিটিস শেষে, আমার জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষের চাবি পেতে দুপুর গড়ালো।রিহাবসেন্ট্রুমের এক কর্মচারী চাবি আর ঠেলা ট্রলিতে লাগেজগুলি তুলে পথ দেখিয়ে নিয়ে এলো আমাদের । তেতলার সাত নং কক্ষ। লম্বা বারান্দার শেষ মাথায়, একেবারে কর্নারে। উত্তর পূর্ব দিকে মুখ ।একেকজন রোগীর একেকটি কক্ষ। বেশ বড়ো পরিসরের আয়তাকার ঘর।ভেতরেই সব ব্যবস্থা।যাবতীয় আসবাবপত্র খাট, চেয়ার টেবিল দিয়ে সুন্দর সাজানো। এত পরিচ্ছন্ন আর পরিপাটি ,যে কোনো স্টার হোটেলের তুল্য।পেছনে গ্লাসের বড়ো দরজা জানালা। ভারী ও হালকা দুইই পর্দা লাগানো। ওপাশে একচিলতে বারান্দা।বসার চেয়ার টেবিল পাতা আছে।সম্মুখে আকাশে হেলান দিয়ে ঘন অরণ্যের পাহাড়।
এরমধ্যে ডাইনিং এর যিনি দায়িত্বে আছেন, আমরা ঘরে ঢুকতেই তিনিও দরজায় নক করে উপস্থিত হলেন।কোন বেলার মেন্যুতে কি কি খাবার আছে, চার্ট দেখে তাকে বলে দিল কুতুব।বলাবাহুল্য,ভিনারকুইকের খাবার বিষয়ে কুতুব বিশেষ অভিজ্ঞ।
একটু পরে লাঞ্চখাওয়ার সময়।লাগেজ খুলে কুতুব সব গোছগাছ করে দিচ্ছে।এরফাঁকে আমি তোয়ালে সাবান নিয়ে বাথরুমে গেলাম । এমন সময় ঘরের লাউডস্পিকারে আমার নামধরে ডাক্তারের ডাকাডাকি।
হাত মুখ অল্প ধুয়ে মুছে, দরজা লক করে নির্দেশ পালনে ছুটলাম নীচে।

অনতিপূর্বে ডাক্তারের রুমের সামনে গিয়ে বসেছি।একটা রোগীর পরে ডাক পড়লো।আমি যে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে পাঁচটি সপ্তাহ থাকবো,তিনি একজন হার্ট স্পেশালিষ্ট, ডাঃ সিমোদে।বয়সে আমার কাছাকাছি (ধারণা )বিশাল উঁচু লম্বা। কথা ও ব্যবহারে দারুণ অমায়িক।
অল্পক্ষণে আমার জড়তা কেটে গেছে।
আমার শারীরিক যে সমস্ত প্রাথমিক (ডাক্তারি) পরীক্ষা ছিল ,নির্বিঘ্নে শেষ হলো। অতঃপর বলে দিল, “আজকের মতো শেষ । খাওয়া শেষে পূর্ণ বিশ্রাম। আগামীকাল থেকে নিয়ম অনুযায়ী সব শুরু। নৈশভোজের পরে অফিস বা সেক্রেটারি থেকে প্রাত্যহিক প্রোগ্রামের চার্ট আমি যেন সংগ্রহ করে নিই। এখন চাইলে,রিহ্যাবসেন্ট্রুম ঘুরেফিরে দেখতে পারি।দোতলায় লাইব্রেরিতে দেশবিদেশের ভিন্ন ভাষার প্রচুর বই আছে। বই নিয়ে ঘরে বা লাইব্রেরিতে বসে পড়া যায়। তবে কেন্দ্রর বাইরে যাবার অনুমতি নেই । কখনও কারণবশত আশেপাশে গেলে, সেক্রেটারি বা সিকিউরিটির কাছে রুমের চাবি হস্তান্তর এবং নির্দিষ্ট সময়ে ফিরতে হবে।”
কোথায় আর যাবো।।।
আমি হাসলাম।স্বীকারোক্তিমূলক মাথা নেড়ে বিদায় বলে বেরিয়ে এলাম।
কুতুব দরজার ওপাশে ঠায় বসে।আমায় দেখে উঠেছে।একটু হাসলো।ও বললো,”তোমার জন্য খবর আছে ।”
-“কি?”
-“ভিয়েনার এক বাঙালি এখানে আছেন। ইসমাইল সাহেব,বয়স্ক ভদ্রলোক।আমরা খুব ভালো পরিচিত।এই পথে যাচ্ছিলেন, হঠাতে দেখা হয়ে গেল। কথা হয়েছে।তোমার ফ্যান, কয়েকটি বই পড়েছেন।তুমি এখানে বলায়, পরিচিত হওয়ার খুবই আগ্রহী।উপরে চারতলার তেত্রিশ নম্বর কক্ষে থাকেন।অনেক দিন ধরে আছেন।এখানকার সব ওর ভাল চেনা। সুবিধা অসুবিধার কথা বলা যায়না। তিনি পরিচয় দিলে আলাপ করো। অথবা ক্যাফেতে গেলে আর দেখা হলে কথাবার্তা বলো,গল্প করো।সময় কাটবে।
আমি বললাম,”বেশ।”
নিঃসন্দেহে খবরটি আমার জন্য আনন্দের ছিল।
অজানা জায়গা।কেন্দ্র ভর্তি গিজগিজে অচেনা রোগী।সবাই সাদাটে বর্ণের প্রতিবেশী (রোগী)।কতদিন থাকবো।ভিনদেশি মানুষগুলির ভিড়ে একজন অন্তত নিজের ভাষাভাষী মানুষ।খুশি না হয়ে পারা যায়?
আমি প্রায়ই মনে মনে একটা কথা ভাবি,এখানে সুস্থ্য মানুষের অনুপাতে যেন অসুস্থ্য (রোগী) মানুষের অনুপাত বেশী। ভিয়েনায় এত্তো ডাক্তার, অনেক নামি বড় বড় হাসপাতাল।এককথায় ভিয়েনাকে ডাক্তারের শহর বলা যায়।সেখানে কতো যে রোগ আর রোগী।যেকোনো হাসপাতাল বা ডাক্তারখানায় যাও,সবখানে রোগীর উপচানো ভিড়।রোগের যেন ইয়ত্তা নেই।বাইরে থেকে এদের দেখে বোজবার জো নেই।চকচকে হাসিখুশি মুখের আড়ালে আর ধবধবে জামাকাপড়ের নিচে কতধরনের রোগে ভরা ওদের শরীর।
কুতুব বললো,”তোমার লাঞ্চের সময়।”
আমি বললাম, “এই বেশে না।একটু দাঁড়াও।এখুনি তৈরি হয়ে আসছি।” আমরা এখানে নতুন এসেছি।বিশালাকায় রিহ্যাবসেন্ট্রুম। প্রতি সিঁড়ির মুখে,লিফটের দরোজায় সেন্ট্রুমের প্ল্যান আঁটা রয়েছে ।চিহ্ন দিয়ে পরিষ্কার ইঙ্গিত দেওয়া। তারপরেও চিনতে ভুল হয়। সহসা সব খুঁজে পাওয়া প্রথম একটু অসুবিধা। অহেতুক না। সত্যিই ঘোরাঘুরি করতে হয় । চলবে,,,,,